করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়াসহ নানা অনিয়মের কারণে সিলগালা করা রিজেন্ট হাসপাতাল মালিক এখন কোথায় আছেন, কোটি টাকার এই প্রশ্নের জবাব কেউ দিতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
তারা বলছেন, শাহেদকে ধরার ক্ষেত্রে চেষ্টার কোনো ত্রুটি করছেন না তারা। তবে এর মধ্যেই গুঞ্জন উঠেছে, ৯ জুলাই মোহাম্মদ শাহেদ সাতক্ষীরার হঠাৎগঞ্জ দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
পাঁচদিন হতে চললো, শাহেদ লাপাত্তা। বলা হচ্ছে, র্যাব-পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। এরপরও তাকে খুঁজে না পাওয়ার কারণে শাহেদের অবস্থান নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন বাড়ছে।
শাহেদ আদৌ বাংলাদেশে আছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাবের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, শাহেদের পক্ষে কোনো কিছুই ‘অসম্ভব’ নয়। তবে তার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
শাহেদের স্ত্রীর ভাষ্য, ৬ জুলাই রাতে সর্বশেষ তাকে কল দিয়ে শাহেদ বলেছিল, দুশ্চিন্তা করো না, যেখানেই আছি সেইফ আছি। এছাড়া ওইদিনই রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও ফোন দিয়েছিল শাহেদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই তা গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন। এই দুই কলের %[র থেকে তার ফোন বন্ধ আছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ বলেন- আমরা আশা করছি, যে কোনো মুহূর্তে মোহাম্মদ শাহেদ ধরা পড়বে। কারণ তাকে ধরার জন্য জোরালো প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সে সীমান্ত অতিক্রম করে চলে গেছে, এমন কিছু আমরা শুনিনি। তবে এ বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি। অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে যথাযথ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উৎস: RTNews24