“বাংলাদেশের মানুষদের কাছে এ সন্ত্রাসীদের মুখোশ ও অপকর্ম প্রকাশের যে দায়িত্ব আমার ছিলো আমি তা পালন করেছি এবং করবো , নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমরা সবাই রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি। বাংলাদশের আজ আমাদেরকেই প্রয়োজন।”
আমার কথাঃ Who is Sami?
ছদ্ধনামের সাহসী ‘সামী’ বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমীতে ক্যাডেট হিসেবে ২০০০ সালে ঢুকেন অফিসার হবার জন্য। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৯। শারীরিক সমস্যার কারনে তিনি মিলিটারী ট্রেইনিং শেষ করতে পারেন নাই এবং ২০০২ সালে ফাইনাল টার্মে বের হয়ে যেতে হয় । এরপর তিনি হাংগেরীতে চলে যান রুটি রুজির জন্য। গড়ে তোলের নিজস্ব ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান।
২০১৪ সালে যখন সামীর সাথে বাংলাদেশী সন্ত্রাসী পরিবারের যোগাযোগ হয় তখন সামী আমাকে ফোন দেয়। আমি দেশে থাকায় ওর সাথে শুধু হায় হ্যালো পর্যন্ত কথা হয়।
সামীকে বললাম – দুই দিন পর ফ্লাইট নিয়ে আমি দুবাই যাচ্ছি সেখানেই কথা হবে নিরাপত্তার কথা ভেবে।
আমি দুবাইতে গেলে সামী ফোন দিয়ে অনেক কথা বলে। আমি যেহেতু গোয়েন্দা নজরদারীতে সব সময় থাকি এবং দেশ নেত্রীর নিরাপত্তা বহরে যুক্ত তাই ভাবলাম এইটা সরকারের কোন ট্রেপ।
যাই হোউক, সময়ের সাথে সাথে সামীর সাথে আমার একটা বিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরী হয়।
২০১৮ এর নির্বাচনের আগেই একটা প্ল্যান ছিলো কিন্তু রিস্ক ও ছিলো। এর মধ্যেই আমি গুম জেল দেশান্তরী।
লন্ডনে আসার পর সামীর সাথে আবার যোগাযোগ হয়।
সামী শুধু বললো – স্যার আমি অনেক কষ্ট করে দেশ প্রেম থেকেই একটা অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছি – আমি ওদের একদম কোর জায়গায় ঢুকে পড়েছি।
সামী আরো জানালো – ও শুধু একা না আরো অনেক দেশ প্রেমিক আছে এরা সব খুব কাছে থেকেই সব অন রেকর্ড করছে।
সবাই সুজোগের অপেক্ষায়।
এর প্রমানও আমি পেয়েছি – আমার গুমের পরে মিলিটারী একটা গ্রুপ খুব গোপনে আমার স্ত্রীকে সহায়তা করেছে।
আমার জন্য একটাই উপদেশ ছিলো – নাম পরিচয় বিহীন একটা কল – শুধু বলেছে – ” স্যার জেল থেকে বের হলে যেন সাঁতরায়ে হলে দেশ থেকে বের হয়ে যায় ”
আমি সেই অফিসার কে- এখনো জানি না।
অনেক নাম পরিচয় বিহীন মেসেজ কল আসে – বুঝতে সমস্যা হয় কোন টা ট্রেপ কোন টা রিয়েল।
যাই হোউক, আমি এও জেনেছি – কেহ কেহ ক্রস ফায়ারের লাইভ ভিডিও করে রেখেছে – এমন আরো অনেক সংবেদনশীল ডকুমেন্ট সংরক্ষিত আছে।
তবে যেহেতু অনেকেই চাকুরীতে আছেন তাই আপাতত বেশ কিছু ডকুমেন্ট দেয়া যাবে না।
সেই সব এক সময় সময়ের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে।
সামী শুধু সামান্যই দিয়েছে।
বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উচিৎ সামীর থেকে শিক্ষা নেয়া, আমি বলবো সারা বিশ্বের নামকরা গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর।
He is an asset.
এই ডকুমেন্টারির কারনে সামীর দেশ বদল করতে হচ্ছে – হাংগেরীর বিজনেস ক্লোজ করতে হচ্ছে – সামী নিরাপত্তা ঝুঁকিতে। গতকাল রাত ১২ টা পর্যন্ত শুধু বাংলা ডাবিং এ রিমোট অফিসে বসে।
আপনেরা যে বলেন সব নষ্ট হয়ে গেছে – ঠিক না – সাগরের জলের মতো এরা সামান্যই। দেশপ্রেমিকের ভিড়ে এরা হারিয়ে যাবে। সামীকে বা দেশপ্রেমীকদের ভুলে গেলে বড্ড বেঈমানী হয়ে যাবে। ধন্যবাদ। সামীর অরিজিনাল লুক টা সুন্দর না। গতকালের। Sami The Hero!